ফাইভার ফ্রিল্যান্সিং জগতে একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসের নাম। এটি মূলত সার্ভিস কেনা বেচার একটি জনপ্রিয় জায়গা যেখানে আপনি সার্ভিস বিক্রি করবেন এবং বায়ার সেটা কিনবে।
ধরা যায় একটি বাজারের মতো যেমনঃ বাজারে বিক্রেতারা বিভিন্ন ধরণের পণ্য নিয়ে বসে থাকে এবং ক্রেতা এসে যে যার মতো পণ্য কিনলো । আর বাজার ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সমন্বয় ঘটালো যাতে সবাই নিরাপদে এক জায়গায় কেনাবেচা করতে পারে। এখানে ফাইভার হলো বাজার, বিক্রেতা হলো আপনি, আর ক্রেতা হলো বায়ার।
![](https://ae04.alicdn.com/kf/H52d1f02bc22a4d61a7df33aed90fab235.jpg)
ফাইভারে কাজ করতে হলে অবস্যই আপনাকে অনলাইনভিত্তিক যে কোনো কোন কাজে পারদর্শী হতে হবে। আপনি যে কাজে পারদর্শী সেই কাজ উপর ভিত্তি করে আপনার প্রোফাইল সাজিয়ে রাখবেন যাতে বায়ার সেটা দেখে আকর্ষিত হয়ে আপনাকে কাজ দেয়।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
চাকরি কিংবা ব্যবসার বাইরে অনলাইনে আয়ের উপায় !
ধরুন আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার। এখন আপনার নিজের তৈরি কিছু আকর্ষনীয় ডিজাইন দিয়ে আপনার একাউন্ট সাজাতে হবে যেটাকে ফাইভারের ভাষায় গিগ বলা হয়। আপনার গিগ যত আকর্ষনীয় হবে তত আপনার কাছে কাজের রিকুয়েস্ট আসবে। আর সেসব কাজ সফল ভাবে করে দিতে পারলেই ঘরে বসে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
ফাইভার ব্যাপারে নতুনদের উদ্দেশ্যে কিছু দিক নির্দেশনাঃ
যারা কাজ পারেন এবং ফাইভার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বুঝেন না, নতুন একাউন্ট করতে চান তারা নিম্নোক্ত রুল ফলো করবেন। আশা করি আপনিও সফল হবেন।
- আপনার নির্ধারিত কাজের উপর দক্ষতা এবং ইংরেজি ভাষা মোটামুটি ভালোভাবে বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে
- ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার ও মার্কেটপ্লেস একাউন্টের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। যেমনঃ আপনি কাজ করেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে, আপনার নাম আব্দুর রহিম, আপনার মেইল হবে [email protected], Facebook-gfxrahim, twitter-gfxrahim, marketplace-gfxrahim । অবশ্যই একাউন্ট খোলার আগে নিজের ইউজারনেম সার্চ দিবেন এবং মিলিয়ে নিবেন। আজেবাজে নাম দিবেন না যেমনঃ কোনো হিরোর নাম, ভুয়া নাম, পশুপাখির নাম এগুলো দিবেন না। আর প্রোফাইল গুলো আপনার প্রফেশন অনুযায়ী তৈরি করুন
- প্রোফাইল পিকচারে মডেলিং হিরো, কোনো ফুলের ছবি ব্যবহার করবেন না। প্রফেশনাল ছবি দিন। কাজের ভ্যালু যাচাই করুন, যেমন ২০০ ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করতে ৫ ডলার চেয়ে ছুটো হবেন না। অতিরিক্ত কম দামে আপনার উপর বায়ারের সন্দেহ হবে যে, ও কি আসলেই কাজ পারে
- কাজ করবেন আর টাকা উঠাবেন না সেটা কি করে হয় সেজন্য পায়নিয়ার একাউন্ট খুলার প্রস্তুতি নিন ( কিন্তু ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত একাউন্ট না খুলাই ভালো) দেশে একটা ব্যাংক একাউন্ট করে নিন
- কাজ ছাড়া অকাজে ডিজিটাল ডিভাইসের উপর দৃষ্টি কম দিবেন চোঁখ ভালো থাকবে। বাসায় অফিশিয়াল পরিবেশ করুন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে : এখানে ক্লিক করুন
ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পদক্ষেপসমূহঃ
- প্রথমে আপনার একটা ফাইভার একাউন্ট থাকতে হবে। ফাইভারে কখনো ব্যক্তিগত কোন তথ্য দেয়া যাবেনা। ফাইভার চায়না যে কোন ওয়ার্কার সরাসরি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করুক
- ফাইভারের সকল নিয়ম মেনে আপনি যেসব কাজে দক্ষ সেসব কাজের উপরে আকর্ষনীয় গিগ তৈরি করবেন
- সঠিক নিয়মে গিগ তৈরি করা থাকলে ফাইভার নিজেই আপনার গিগ মার্কেটিং করবে
- আপনার কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার কাছে বায়ার রিকুয়েষ্ট আসবে এবং আপনাকে তার সঠিক রিপ্লে দিতে হবে
- আপনার গিগ পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজ দিবে
- কাজ সম্পর্কে সবকিছু বায়ারের কাছে জেনে নিতে হবে
- এরপর কাজ সম্পুর্ন করে বায়ারের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত মুল্য পেয়ে যাবেন। যদি বায়ার আপনার কাজে অনেক খুশি হয় তাহলে আপনাকে কিছু অতিরিক্ত মুল্য দিবে যাকে টিপস বলা হয়
- এরপর আপনি আপনার আয় করা অর্থ ব্যাংকে ট্রান্সফার করবেন
![728x90 In Doers We Trust](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_webp,q_glossy,ret_img,w_728,h_90/https://www.bsocialtoday.net/wp-content/plugins/a3-lazy-load/assets/images/lazy_placeholder.gif)
* উপরের অপশনগুলা কমপ্লিট হাওয়ার পর ধরে নেওয়া যায় আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্রফেশনালি এগুচ্ছেন*
আর আপনি অবশ্যই নিজের সৃষ্টিশীলতার যত্ন করুন কপিরাইট থেকে বিরত থাকুন। ভুল হলে, অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
লেখক পরিচিতিঃ