পিপিসি কি ? কেমন ভাবে এইটা কাজ করে ? এবং সব চাইতে প্রয়োজনীয় যে বিষয়, তা হল কি ভাবে আপনি PPC কে কাজে লাগাবেন।

এই অধ্যায়ে  আপনারা পরিচিত হবেন এক আশ্চর্যজনক পৃথিবীর সাথে আর তা হল Paid Search Marketing: Keywords, ads, budgets and bids, ad rank, targeting এবং conversions  এই বিষয় গুলির সাথে জড়িয়ে থাকা সকল প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন ।

তাহলে চলুন প্রাথমিক বা বেসিক বিষয় গুলি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া শুরু করি।

আসলে পিপিসি কি !

পিপিসি কি ,তার বিস্তারিত জানার আগে জানতে হবে এর ফুল মিনিং। আর PPC পূর্ণরূপ হচ্ছে Pay-Per-Click । এই Pay-Per-Click হল ইন্টারনেট মার্কেটিং এর এমন একটি মডেল যা বিজ্ঞাপনের সাথে সম্পর্কিত। বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্লাটফর্ম গুলিতে যখন ব্যবসায়ীরা বা মার্কেটার্স তাদের বিজ্ঞাপন গুলি দিয়ে থাকেন তখন সেই বিজ্ঞাপনগুলির উপর ক্লিক হওয়ার জন্য ঐ প্লাটফর্মের মালিকেরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন।

পিপিসি কি ভাবে বা PPC বিজ্ঞাপন আসলে যেভাবে কাজ করে:  যখন কোন বিজ্ঞাপনদাতা তার বিজ্ঞাপনটি কোনও সাইট বা এপ্লিকেশন (app) এ দেন তখন কেউ অর্থাৎ যারা ঐ সাইট বা এপ্লিকেশন ভিজিট করেন ঐ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন এবং বিজ্ঞাপনে দেখানো কোন একটি পণ্য ক্রয় করেন।

সার্চ ইঞ্জিন গুলি হল বিজ্ঞাপন দেওয়ার সব চাইতে উর্বর ভূমি মানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার  বিখ্যাত প্লাটফর্ম। তারা আসলে সেই বিজ্ঞাপন গুলিই আপনার সামনে নিয়ে আসবে যেইগুলি আসলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারিরা সন্ধান করেন।

এখনই ফ্রীল্যান্সিং শুরু করুন : এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন গুলি যারা দেয় যেমন Google ad; Bing ad তারা RTB মানে Real time bidding প্রক্রিয়াতে কাজ করে।এখন এই RTB এর কাজ করার পদ্ধতি হল বিজ্ঞাপনগুলির লিস্ট আসল তথ্য ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বয়ংক্রিয় নিলাম (Private automated auction) এর মাধ্যমে বিক্রয় করে দেওয়া।

কোর্স ফি মাত্র ৪৫০ টাকা

কি ভাবে পেইড সার্চ কাজ করে?

প্রতি সময়ে যখন কীওয়ার্ড গুলি দেওয়া হয় মুহূর্তের মধ্যেই কিন্তু নিলামের কাজটি সম্পন্ন হয়ে যায় এবং সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পেজে বিজ্ঞাপনটি জায়গা করে নেয়। 

SERP মানে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের সবচেয়ে প্রথম স্থান যে বিজ্ঞাপন দখল করে তা করতে আসলে একসঙ্গে অনেক গুলো কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে এর মধ্যে বিডের পরিমান ও বিজ্ঞাপন এর গুণগত মান অবশ্য বড় ভূমিকা রাখে।

PPC (পে পার ক্লিক) এর চালিকাশক্তি কিন্তু এই নিলামগুলিই। আর তাই পিপিসি কি  এই বিষয়ে ধারণা রাখতে নিলামগুলি ব্যপারে  জানা খুব জরুরি ।

নিলাম বা অকশন তখনি শুরু হয়ে যায় যখন কেউ কিছু জানতে সার্চ ইঞ্জিনে ক্লিক করেন, যদি এমন হয় যে কোন ব্যক্তি বিজ্ঞাপন দাতার দেওয়া বিজ্ঞাপনের উপরে কিছু জানতে সার্চ ইঞ্জিনে কীওয়ার্ডস (বা যেটাকে মুলশব্দ বলা যেতে পারে) দিয়েছেন তাহলে ঐ বিজ্ঞাপন দাতার ঠিক ঐ বিজ্ঞাপনটিই সকল বিড এর সাথে প্রতিযোগিতা করে নিলামের একদম প্রথমেই চলে আসবে। ঠিক তখনই বিজ্ঞাপনটি নিলামে জয়ী হয়ে সার্চ ইঞ্জিনের পেজ ফলাফল এ জায়গা করে নেয়। পিপিসি কি ব্যপারে আরও পরিষ্কার হবে নিচের লেখা পড়ে ।

এই অকশন বা নিলামে অংশ নিতে বিজ্ঞাপন দাতারা তখন Google Ads এর মত যেকোন প্লাটফর্ম এ নিজেদের একটি একাউন্ট খুলে রাখেন যাতে করে Google ads তাদের বিজ্ঞাপন গুলি কখন এবং কোথায় দিবে সেই ব্যাপারে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে ।

একাউন্ট গুলি অনেক ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে যেমন: সহজে ব্যবস্থাপনার প্রচরনা এবং বিভিন্ন জায়গার প্রতিবেদন, বিজ্ঞাপনের মান কেমন অথবা অন্য যেকোনো উপকারী শ্রেনী বিভাজন।

প্রচারনা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে করা হয়ে থাকে যেমন : অনেক কীওয়ার্ডস বা মুলশব্দ এবং ঐ বিজ্ঞাপনের সাদৃশ্য অন্য বিজ্ঞাপন।

Keywords (কীওয়ার্ডস) বা মুলশব্দগুলি

বিজ্ঞাপন দাতা এবং সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধানকারির ঠিক মাঝেই থেকে কাজ করে কীওয়ার্ডস।

  • অনুসন্ধান বা প্রশ্ন হল সেই সকল শব্দ যা একজন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারি সার্চ বক্সে লিখেন তার প্রয়োজনীয় বিষয়ে ফলাফল জানতে।
  • অন্য দিকে কীওয়ার্ডস হল সেই সকল শব্দ যা ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই ধারনা করে বের করে রাখেন যে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারি ঠিক ঐ শব্দের উপর নির্ভর করেই অনুসন্ধান করবেন।

সাধারণত কীওয়ার্ডস এতটাই সফল ভাবে কাজ করে যে অনুসন্ধানকৃত প্রশ্নের বানানো যদি ভুল যায় তারপরও ফলাফল সঠিকটাই বের হয়ে আসবে।

স্মরণ রাখতে হবে, কীওয়ার্ডস গুলির মিলে যাওয়া নির্ভর করে বিজ্ঞাপন দাতারা কত কম অথবা কত বেশি অনুসন্ধানের জন্য শব্দ ব্যবহার করেন তার উপর।

কোর্স ফি মাত্র ৪৫০ টাকা

যেমন উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে যে বিজ্ঞাপন দাতারা একদম একই রকম শব্দ যা অনুসন্ধান করা শব্দের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে তা দিতে পারেন কীওয়ার্ডস হিসেবে আবার চাইলে ঐ শব্দের সাথে মিল রেখে আরো শব্দ যোগ করতে পারেন, অন্য বানান যোগ করতে পারেন অথবা আরো ঐ সম্পর্কিত শব্দ যোগ করতে পারেন।

নেগেটিভ বা নেতিবাচক কীওয়ার্ডস ব্যবহার করা সম্ভব যদি অপ্রাসঙ্গিক সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারিদের প্রতিহত করার প্রয়োজন হয় যদি নেগেটিভ কীওয়ার্ডস অনুসন্ধান কৃত প্রশ্নের সাথে থাকে তাহলে বিজ্ঞাপন গুলি উপর আসতে প্রতিহত করে ঐ শব্দ গুলো।

বিজ্ঞাপন

পিপিসি কি এর আরেকটি দরকারি বিষয় যা আপনাকে বুঝতে হবে তাহল আপনার প্রচারনার স্বার্থে কীওয়ার্ডস এর সাথে সাথে বিজ্ঞাপনকেও যুক্ত করতে হবে।

একই সাথে যেন এই বিজ্ঞাপন গুলি আর কীওয়ার্ডস গুলি থাকে যেন একই ঘরে তাদের বসবাস এমন যাতে একসঙ্গে একই থিম ব্যবহার করতে পারে।

বিজ্ঞাপন হল সেইগুলি যা নিলামে জয়ী  হয়ে ব্যবহারকারিদের সামনে আসে যা তারা দেখতে পায় সুতরাং ব্যবহারকারীরা যেন সঠিক বিজ্ঞাপনটিই দেখতে পায়।

যা যা থাকে এই কনটেন্ট গুলিতে:

  • হেডলাইন বা শিরোনাম
  • ইউআরএল ( URL)
  • বর্ণনা

SERP এর উপরে অথবা নিচে বিজ্ঞাপন গুলি দেখানো হয়। আর এইটা দেখে নেওয়া আসলে ভাল যে বিজ্ঞাপন উপরে দিলে ভাল লাগবে নাকি নিচে দিলে ভাল লাগবে।

এই ধরনের সেবাদাতা যেমন Google ads অথবা Bing ads বিজ্ঞাপন পরিবর্ধন বা এক্সটেনশন করার বৈশিষ্ট্য বা ফিচার গুলি দিয়ে থাকে যাতে বিজ্ঞাপন গুলি দেখানোর জায়গা আগেই নির্ধারণ করা সম্ভব।

 উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে দুটি এক্সটেনশন সম্পর্কে যেমন:

  • Sitelink extensions (সাইট লিংক এক্সটেনশন): ঐ বিজ্ঞাপনের সাথে একটি সাইটের বিভিন্ন পেজের লিংক যুক্ত করা থাকে।
  • Call extensions (কল এক্সটেনশন ): ব্যবসায়ীক ফোন নম্বর যুক্ত করা থাকে।

সত্যি বলতে এক্সটেনশন বা পরিবর্ধন গুলি আসলে খুবই উপকারী কারণ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারি আরো বেশি তথ্য বের করতে পারেন ঐ এক্সটেনশন গুলির মাধ্যমে যোগাযোগ করে । পিপিসি কি আপনি মনে করতে পারেন বেশ জটিল কিন্তু আপনি যখন জেনে বুঝে লাইভ কাজ করবেন তখন মজা পাবেন ।

বাজেট এবং বিডস

নিলামে অংশ নিতে গেলে বিজ্ঞাপন দাতাদের আসলে এই ধারনা রাখা উচিত যে তারা কীওয়ার্ডস এর পিছনে কত ব্যয় করতে পারবেন। 

যেমন এইভাবে করা যেতে পারে :

বাজেট করা প্রচারনার জন্য।

বিড করা বিজ্ঞাপনগুলো এবং মানসম্পন্ন কীওয়ার্ডের জন্য ।

প্রচরনার মান বা পর্যায়ের উপর ভিত্তি করে বাজেট প্রতিদিন বাড়ানো যেতে পারে কিন্তু প্রতিমাসে বেশি যেন খরচ না করা হয় সেদিকে দৃষ্টি অবশ্যই রাখতে হবে। বাজেট রাখা যেতে পারে একাউন্ট কৌশল অবলম্বন করে কিন্তু বিড কে কমাতে বা বাড়াতে হবে ব্যয় কমিয়ে যা পিপিসি কি জানলে সহজ হয় ।

প্রতিটি বিজ্ঞাপন গ্রুপেরই বিড থাকে কিন্তু একটি মান সম্পন্ন ভাল কীওয়ার্ডস সকল বিজ্ঞাপন গ্রুপগুলিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বিড এবং কিওয়ার্ডস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ।

RTB পদ্ধতির কাজের জন্য আসলে বিজ্ঞাপন দাতার আসল খরচ নির্ভর করে প্রতিযোগী বিজ্ঞাপন দাতার কার্যকলাপ ও বিজ্ঞাপনটি কত উপরে তার উপর , সবচেয়ে বেশি বিডের উপর নির্ভর করেনা।

Ad Rank বা বিজ্ঞাপনের ্যাঙ্ক

সবচাইতে বেশি বিড রাখার থেকে নিলামে জয়ী হওয়া বেশি প্রয়োজন।

সার্চ ইঞ্জিনগুলি অন্য আরো বিষয়ও দেখে এই টা নির্বাচন করতে যে উপরে কোন বিজ্ঞাপন যাবে এবং SERP এর সবচেয়ে ভাল কোন অংশে বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে।

সার্চ ইঞ্জিন অন্য আরো কিছু কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে বিজ্ঞাপন পদমর্যাদা বা ranking ঠিক করতে।

যেমন Google যা বিবেচনা করে :

  • বিডের পরিমাণ
  • বিজ্ঞাপন কতটা প্রাসঙ্গিক এবং মান কেমন
  • সার্চ কিসের ভিত্তিতে নির্ভর করে ( ব্যবহারকারির যন্ত্র নাকি সময়)
  • ফরমেট ইম্প্যাক্ট (এক্সটেনশন গুলি যুক্ত করা হয়েছে কিনা যাতে বিজ্ঞাপনের ফরমেট মান সম্পন্ন হয় )

কোয়ালিটি স্কোর বা গুনগত মান বজায় রাখা মেট্রিক আসলে ঠিক করে দেয় বিজ্ঞাপন কতটা প্রাসঙ্গিক আর কতটা অপ্রাসঙ্গিক।

  • কতবার ক্লিক হল তার ইতিহাস।
  • বিজ্ঞাপন এর সাথে কীওয়ার্ডস কতটা প্রাসঙ্গিক। 
  • কীওয়ার্ডস এবং অনুসন্ধানকৃত প্রশ্ন কতটা প্রাসঙ্গিক ।
  • পেজের গুণগত মান কতটা ভাল।
লক্ষণীয় বিষয়-

বিজ্ঞাপন প্রাসঙ্গিক হওয়া খুব প্রয়োজন কারণ গুনগত মান যত ভাল হবে CPC (Cost Per Click) তত কম হবে।

সার্চ ইঞ্জিন গুলি ঐ সকল বিজ্ঞাপন দাতাদের দন্ডিত করে বা শাস্তি দেয় যাদের বিড অনেক বেশি কিন্তু কীওয়ার্ডস খুবই নিম্নমানের যা বিজ্ঞাপনেও খুজে পাওয়া যায় না।

এইজন্য একটি উচু ভলিয়ুমের গুনগত মান সম্পন্ন আকর্ষণীয় কীওয়ার্ডস খুবই প্রয়োজন যা বিজ্ঞাপন এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কিন্তু এইদিকে আবার পেজের গুনগত মান আবার অবহেলা করা যাবে না। কারণ সাইটটা যদি গুনগত মানসম্পন্ন না হয় এবং সাইট ব্যবহার কারি কম থাকে তাহলে সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কোন মানে আসলেই নেই।

ওয়েবপেজ কিন্তু ব্যবহার কারি বা ভিজিটর এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত যার কারনে খুব দ্রুত আপলোড হওয়া এবং সব ধরনের যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহারকারি ভিজিটর যে ওয়েবপেজে বেশি সেই ওয়েবপেজে বিজ্ঞাপন দেওয়া বেশি ফলপ্রসূ ।

পিপিসি কি এক কথায় বলা যায়, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের পেইড ভার্সন হচ্ছে PPC

টার্গেটিং বা লক্ষ্য নির্ধারণ 

যারা আসলে বিজ্ঞাপন গুলি দেখতে চায়, তাদের কেই বিজ্ঞাপন গুলি দেখানো সম্ভব যদি সঠিক কীওয়ার্ডস বেছে নেওয়া যায়।

প্রচারণা কাজ কে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব আরো কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।

  • ডিভাইস বা যন্ত্র 
  • জায়গা বা লোকেশন
  • দিন এবং সময় 
  • জনসাধারণ 

এইভাবে বিজ্ঞাপন দাতারা কিন্তু তাদের টার্গেট বা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে যেমন কারা সন্ধ্যায় মোবাইল ব্যবহার করে, কারা পঁচিশ বছরের নিচে, কোন জায়গায় কোন স্থানে বসবাস করে যাতে করে তারা তাদের বিজ্ঞাপন গুলিও সেইভাবে তৈরি করতে পারে।

এই টার্গেট বা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কিন্তু খুব ফলপ্রসূ কারন বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন  বৈচিত্রের জন্য যেকোনো এক দল দেখা যায় খুব পছন্দ করে অন্য দলের থেকে।

পুরাতন ফলোয়ার এবং সাইট ভিজিটরদে বাদ দিয়ে নতুন করে আর সুনির্দিষ্ট করে বিজ্ঞাপন গুলি কপি ম্যানেজিং করা সম্ভব রিমার্কেটিং টুল ব্যবহার করে।

কারা আসলে বিজ্ঞাপন দেখবে তাদের কে বাছাই করা সঠিক কীওয়ার্ডস ব্যবহার করে বিড কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঠিক করে নেওয়া সম্ভব বিশেষত তখন যখন ক্রেতা অনেক বেশি মূল্যবান। এইজন্য বিজ্ঞাপন দাতাদের ট্রাফিক বা ভিজিটরের উপর বেশি সময় দেওয়া উচিত এবং বিডের ক্ষেত্রে নজর রাখা দরকার।

Conversions বা রূপান্তর

এত কিছু এত কষ্ট আসলে একটা ক্লিকের জন্যই তো করা হচ্ছে তাই না!

কিন্তু আসল প্রাপ্তি টা কিন্তু কনভারসেশন বা রূপান্তরের উপরেই নির্ভরশীল ।

কনভারশন হল যখন ভিজিটর ক্রেতায় পরিনত হবে মানে, বিজ্ঞাপন দাতারা তাদের ব্যবসার যে উদ্দেশে বিজ্ঞাপন দিবেন তখন একটা ক্লিক করে ভিজিটর বা ভিউয়ার তা দেখে বিজ্ঞাপন দাতার সেই সেবা গ্রহন করবে।

উদাহরণ স্বরূপ যে সাধারণ বিষয় গুলি কনভারশন বা রূপান্তরের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়  তাহল:

  • কোন একটি সেবা ক্রয় করা।
  • কোন একটি সংবাদদাতা বা নিউজলেটরে প্রবেশ করা বা সাইন আপ করা।
  • ফোন করা ।

এটা খুবই প্রয়োজনীয় কনভারশনস ট্রাক করা বা দেখা যে, পিপিসি কি প্রচারনার কাজ ঠিকমত করছে কিনা আর কনভারশন বা রূপান্তর আসলে কতটা পাওয়া যাচ্ছে অন্য যে কোনো বিজ্ঞাপন মার্কেটিং চ্যানেলের থেকে । 

Google Ads এর মত প্লাটফরমে আসলে কনভারশন ট্রাক করা যায় বিশেষ পদ্ধতিতে। একটা কনভারসেশন পেজ থেকে কনভারসেশন ডাটা কালেক্ট ( যা সাধারণত থ্যাংক ইউ পেজে গেলে পাওয়া যায় ) করে সোর্স কোড করে সাইপেট কোড আকারে ব্যবহৃত হয়।

কনভারশন ট্রাকিং আসলে কিছু টা চতুরতার সাথে কাজ করে কারন সাধারণ একটা ক্লিক করে সরাসরি কেনার থেকে আরো বেশি কঠিন হওয়ার একটা প্রবনতা থাকে এই কনভারশন পথগুলোর।

সেক্ষেত্রে প্রায়ই অনেক সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার এবং অনেক ওয়েবসাইট এ যাওয়ার অপশন যুক্ত করে অথবা ইমেইল আইডি দেওয়া বা ফোন কল দিতে বলা বা দোকানে পরিদর্শন করার বিষয়ও যুক্ত করে থাকে।

Google Analytics এর মত বিশ্লেষণধর্মী সেবা গ্রহন করে কনভারশন এর জন্য ক্রেডিট কিভাবে রাখা যায় তা নির্ধারণ করার জন্য কনভারশন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আশা করছি, পিপিসি কি এই বিষয় নিয়ে লেখা এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবেন । যদি আপনার PPC ব্যপারে আরও জানার থাকে তাহলে ইমেইল করতে পারেন নিচের ঠিকানায়ঃ [email protected]

লেখক পরিচিতি :

Md.Arifur Rahman

Arifur Rahman, Digital Marketing Expert , SEO Expert , Digital Marketing Trainer, PPC Expert ,Social Media Specialist,Consultant, পিপিসি

Digital Marketing Expert । SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top