সঠিক টুলসই পারে আপনার সময় বাঁচাতে এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজগুলো কে আরো দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস এর মধ্যে সঠিক টা বেছে  নেওয়া কিন্তু খুবই কঠিন হয়ে যায় । সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অগ্রগতির সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং এসিস্টেন্স ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে যার প্রত্যেকটিরই রয়েছে আলাদা আলাদা সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য বা ফিচার।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অভাবনীয় অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এবং এসিস্টেনস তৈরিও হচ্ছে অনেক বেশি যার প্রতিটির-ই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা এবং ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য ।

আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পেতে ক্লিক করুন

ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়া এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস গুলি একই সাথে আশীর্বাদ ও অভিশাপ দুটোই। এইটা খুবই সৌভাগ্যের যে অনেকগুলো অপশন আমাদের কাছে আছে কিন্তু সেই সাথে খুব কঠিন ও হয়ে যায় সঠিক টুলসটি সঠিক কাজের জন্য ব্যবহার করা। সেই সাথে ভাল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস টি হাতের নাগালেও থাকলে ব্যবহার করা হয়না।

সুতরাং সঠিক কাজের জন্য সঠিক টুলসটি কিভাবে বেছে নেওয়া যায়?

আমার এই লেখায় আমি সাতটি কী ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা করবো যেটা মনে রাখলে আপনি সঠিকটা খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস বেছে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজনের সময়।

১) আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার লক্ষ্য এবং প্রয়োজনীয়তা:

 আপনি কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে ?

আপনার অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা খুবই ভাল এবং তাদের সাথে কৌতুক নিয়মিত শেয়ার করাও ভাল তবে আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে কিছুটা ব্যবসায়ীক ভাবে চিন্তা করতেই হবে এবং বুঝতেই হবে যে আপনি আসলে কি অর্জন করতে চাইছেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতি থেকে।

আপনি আপনার ব্যবসার যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস বেছে নেওয়ার উপর। হাজার হলেও আপনি এমন একটি টুলস বেছে নিতে চাইছেন যা আপনার লক্ষ্য কে আরো একধাপ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সকল ব্যবসার ক্ষেত্রে একই ধরনের কিছু লক্ষ্য থাকে যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব যেমন:-

  • ব্রান্ড সচেতনতা গড়ে তোলা
  • লিড একুইজিশন এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করা
  • সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা
  • ওয়েব সাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি করা

অবশ্যই আপনি প্রতিটাকেই আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন যেমন ধরুন: কিভাবে আপনি ব্রান্ড সচেতনতাকে পরিমাপ করবেন ? এটা কি কত ইম্প্রেশন হল তার উপর নির্ভর করবে নাকি কতগুলো শেয়ার হল তার উপর নাকি কতগুলো লাইক পেলেন তার উপর।

এখনই ফ্রীল্যান্সিং শুরু করুন : এখানে ক্লিক করুন

আপনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আপনার লক্ষ্য তৈরি করে নিতে হবে এবং আগে যা বলেছিলাম এই লক্ষ্যগুলি অর্জন করতেই আপনাকে প্রয়োজনীয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস বেছে নিতে হবে। যেমন মনে করেন আপনি যদি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটি বেশি কাজ করতে চান তাইলে আপনাকে বেশ কিছু পরিসংখ্যান জেনে টুলস নির্বাচন করা ভাল হবে ।

বিশেষ লক্ষণীয়ঃ

একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস আপনার জন্য আসলে কি করতে পারে বলে মনে করেন ? কিছু প্রয়োজন সকলের একই ধরনেরই থাকে যেমন:

  • সোশ্যাল মিডিয়া পারফরম্যান্সের সাথে সম্পর্কিত ডাটা খুজে নেওয়া
  • দলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ তরান্বীত করা
  • আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার কাজের পরিমাপ করা
  • সোশ্যাল মিডিয়ার কাজগুলো তে সময় অপচয় না করে সময় বাঁচানো
  • নিজে হাতে সোশ্যাল মিডিয়ার আপডেট দেওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া

আপনার যদি পরিষ্কার ধারনা থাকে আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে এবং আপনার কি প্রয়োজন সেই সম্পর্কে তাহলে এইটা খুবই সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য বেছে নেওয়া যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলসআপনার কাজে লাগবে আর কোনটি আপনার কোনও কাজেই আসবে না।

) সোশ্যাল মিডিয়াতে শিডিউল করা এবং তৎপর থাকা:

আপনার কাছে মনে হতে পারে সেইটা আসলে কোনও ব্যাপার না কিন্তু সব সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকা একেবারেই অসম্ভব।

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস এর সাহায্য নিয়ে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার আপডেটের সময় গুলি শিডিউল করে রাখতে পারেন এবং দিনে অথবা সপ্তাহে যেকোনো সময় আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার সময় মত কাজ করতে পারবেন ।

বিভিন্ন ধরনের ধাপ আছে এই কাজের জন্য যেমন:

কিউ পোস্ট: টুলসটা কি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলির জন্য সময় টাকে পোস্ট অনুযায়ী সিরিয়াল করে রাখে?

●পোস্টের পুনরাবৃত্তি: আপনি যখন আপনার সাইটে লেখা একটি কনটেন্ট এর অংশ আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন তখন কিন্তু আপনার পোস্ট বার বার শেয়ার করার প্রয়োজন হয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য । আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস টি কি আপনাকে সেই কাজ করতে সাহায্য করছে?

●কনটেন্ট কিউরেশন: আপনার প্রোফাইল একটিভ রাখতে এবং আপনার ফলোয়ারদের কাছে তা গ্রহনযোগ্য করে তুলতে আপনাকে সব সময় কিছু না কিছু কোনও কনটেন্টের ইনট্যারেস্টিং অংশ পোস্ট করতে হয়। কিছু টুলস কিন্তু তাও করতে পারে অটোমেটিক ভাবে অথবা আপনাকে সাহায্য করবে সেইগুলোকে ভাল করে পোস্ট করতে।

আরেকটা বিষয়ে আসলে দেখতে হবে তা হল একটি টুলসের সোশ্যাল মিডিয়াতে তৎপর থাকার বৈশিষ্ট্য আছে কিনা। যেমন: টুলসের ড্যাশ বোর্ডটা কি আপনার ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ রাখার কাজটি ঠিকমত করছে ? আপনি কি লাইক আর কমেন্ট শেয়ার করতে পারেন এর মাধ্যমে? 

এই ধরনের কাজ করা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস গুলি আসলে আপনার অনেক সময় বাঁচাবে এবং কষ্ট দূর করবে। যেমন উদাহরণ হিসেবে আপনি Buffer এর সহজ শিডিউল ইন্টারফেসটা কাজে লাগাতে পারেন যা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট শেয়ার করতে সাহায্য করবে কিছু সময় পর পর শিডিউল অনুযায়ী ।

শিডিউল অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস এর মাধ্যমে পোস্ট শেয়ার করা যায় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে

৩) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস টি ব্যবহার এর উপযোগী কিনা

একটি টুলসের বৈশিষ্ট্য বা ফিচার আসলে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগী কিনা তা দেখার আগে দেখতে হবে আসলে টুলসটি কতটুকু উপযোগী ।

একটা টুলসের সাধারণ কাজগুলো সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এইটা আসলে খুবই যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার হয়ে দাড়াবে কাজের বেলায় -একটা টুলস দিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা যখন থাকবে তখনই আপনি প্রয়োজনের সময় সঠিক টুলস কাজে লাগিয়ে আপনার সময় বাঁচাতে পারবেন না হলে অসম্ভব হয়ে পড়বে সবকিছু ।

একটি টুলস নির্বাচন করার আগে আসলে কিছু বিষয়ে ভাল করে জেনে নিতে হবে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস টি কত সহজে নিচের দেওয়া কাজ গুলি সম্পন্ন করতে পারবে:

  • শিডিউল আপডেট করা
  • পোস্ট আপডেট করা
  • পর্যবক্ষেণ করা এবং রিপোর্ট গুলি খুঁজে রাখতে পারা
  • ফলোওয়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারা

আপনি অনলাইন রিভিউ গুলি দেখতে পারেন এইটা সুনিশ্চিত করতে আসলে কোন টুলস টি নিয়ে কাজ করতে কত সুবিধা হবে মানে কোনটা বেশি ব্যবহার উপযোগী । আরেকটা বিষয় হল আপনি আগে থেকেই ট্রায়াল দেখে নিতে পারেন যদি সম্ভব হয় যে টুলস টা কাজ করে কিনা।

তবে অবশ্যই বলবো Buffer এর কাজগুলো আসলেই সহজ। তাই এটি ব্যবহার উপযোগী টুলসের সবচেয়ে ভাল উদাহরণঃ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস এর সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হচ্ছে Buffer

) সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক গুলোতে কাজ করবে কিনা:

ব্যবসায়ীক স্বার্থে আপনাকে নজর রাখতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলিতে কোন টাইপের কাস্টমার বেশি একটিভ থাকেন।

কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস শুধুমাত্র একটি বা দুটি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে। আর আপনার প্রয়োজন এর থেকে বেশিও হতে পারে । আসলে একেকটা কাজের জন্য একেকটা টুলস ব্যবহার করে মাথা নষ্ট করার থেকে সহজ হবে যখন একটা টুলসের মধ্যে একসঙ্গে সব কাজ করা যাবে বা বেশিরভাগ কাজ করা সম্ভব হবে এমন টুলস বেছে নেওয়া ভাল ।

সেক্ষেত্রে আপনার হয়তো একটু বেশি টাকাই যাবে এরকম মাল্টিটাস্কিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস কিনতে গেলে কিন্তু আলাদা আলাদ করে টুলস কিনে টাকা খরচের হাত থেকে বেঁচে যাবেন আপনি। তাছাড়া আপনার সময় ও শক্তি বাঁচিয়ে অন্য কাজ করার ব্যাপারেও কিন্তু সহযোগিতা হবে।

যেমন উদাহরণ হিসাবে Sprout Social টুলসটা একবার দেখতে পারেন যে এইটা কতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ককে সাপোর্ট করতে পারে:

 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস গুলির মধ্যে Sprout Social টুলস দিয়ে জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ককে কাজ করা সম্ভব

যদি আপনি এই ধরনের টুলস নেওয়ার চিন্তা করেন তাহলে আপনি দেখতেই পারছেন কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলি ম্যানেজ করা সম্ভব।

) ROI পরিমাপক 

দিন শেষে আপনার বস কিন্তু ঠিকই আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে কোন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস কেনার ব্যাপারে বিনিয়োগ করা যায় এবং আপনার কাছ থেকে তারা যেটা শুনতে চাইবেন তা কিন্তু আর কোনটাই নয় শুধু ROI এবং এইটাই আপনার চাকরি বাঁচাবে ঠিক আছে। কেমন ভাবে জানতে চাইছেন চলুন জানা যাক- আপনার বেছে নেওয়া সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস আপনার কোম্পানির জন্য কতটা লাভজনক হবে তা কি ভেবে দেখেছেন কখনও? আপনি কি বিচার করতে পারবেন টুলসের পিছনে ব্যয় করে কতটা সুবিধা পাচ্ছেন?

সাধারণত দুইটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয় ROI পরিমাপক হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস বেছে নিতে আর তা হল:

■ ROI কাজ করে বুস্ট প্রোডাটিভিটির জন্য :

কত ঘন্টা হাতে কাজ করা বাঁচিয়ে দেয় এই টুলসটি আপনার বলতে পারেন? এই টুলস আপনার কত সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে এবং প্রতি মাসে সেই সময়ের হিসাব টা যদি আপনি গননা করে বের করতে পারেন তাহলে কিন্তু এই টুলসের পিছনে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে প্রতিমাসে তা বের করা সহজ হয়ে যায় ।

■ ROI কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটিস খেয়াল করতে:

আপনার হয়তো এমন টুলসের প্রয়োজন হতে পারে যার সাহায্যে আসলে আপনার কোম্পানির বটম লাইন সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটা সম্পৃক্ততা গড়ে তুলতে পারছে তা বুঝতে পারেন। এই ধরনের একটি টুলস আছে যা ঠিক এইভাবেই আপনার জন্য কাজ করে দিবে আর তাহল Hootsuite Impact.

 সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস যেমন Hootsuite Impact টুলসটি ROI পরিমাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে

) সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং 

অনেক মানুষ দেখা যাবে অনলাইনে আপনার ব্রান্ডকে খুবই পছন্দ করছেন কিন্তু আপনার কোম্পানির অফিসিয়াল আইডি ছাড়া দেখা যাবে কেউই আপনার ব্রান্ডকে সেইভাবে মুল্যায়ন করবে না। এখন এই বিষয়ে আসলে কিভাবে আপনি কাজ করতে পারেন যাতে আপনার সুবিধা হয় ?

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস আছে যেগুলো আপনাকে আপনার ব্রান্ড ইমেজকে তুলে ধরতে সাহায্য করবে। এইভাবে আপনি খুব দ্রুত আপনার ইউজারদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন সেই সাথে তাদের সমস্যার সমাধানও করে দিতে পারবেন আর অবশ্যই এতে করে আপনার পাবলিক রিলেশন মানে PR ইমেজের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবেন।

সেইসঙ্গে আপনার নিজের ব্রান্ড ইমেজের গতিবিধি লক্ষ্য করার সাথে সাথে আপনার প্রতিযোগী কোম্পানির ব্রান্ড ইমেজ সম্পর্কে জানতে পারবেন যা আপনার জন্য একটা বাড়তি পাওয়া হবে।

যে টুলস টি এই কাজ করতে আপনাকে সাহায্য করবে তাহল  BuzzSumo, যার সাহায্য নিয়ে আপনি বিগত ব্রান্ড মেনশন দেখতে পাবেন এবং ভবিষ্যতের মেনশনটিও সেট করতে পারবেন ।

BuzzSumo টুলস ব্র্যান্ড ইমেজ তুলে ধরতে খুবই সহায়ক একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস

) পর্যবক্ষেণ রিপোর্ট করা:

আপনি কি আপনার ব্যবসার বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া তৎপরতা সম্পর্কে জানেন ?

একটি সঠিক কার্যকারি পর্যবক্ষেক টুলস ছাড়া আপনি কোনও ভাবেই বের করতে পারবেন না আসলে কি হচ্ছে এবং সেই সাথে আপনার সুযোগগুলো হাতের নাগালের বাইরেই থেকে যাবে।

আরেকটি জানার বিষয় হল সঠিক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস টি বেছে নেওয়া যার পর্যবক্ষেণ ক্ষমতা অনেক ভাল এবং কোন ধরনের রিপোর্ট গুলি আপনাকে দিবে যা থেকে আপনি আপনার কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন ।

ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস এর পর্যবক্ষেণ ও রিপোর্ট বেশ কার্যকরী বিষয়

কিছু প্রয়োজনীয় ম্যাট্রিক্স যা প্রত্যেক ব্যবসায়ীই চান তার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলসে। আর তা হল:

  • ফলোওয়ার বৃদ্ধি করা
  • যুক্ত থাকা সোশ্যাল মিডিয়াতে
  • রিপোর্ট পর্যবক্ষেণ গুলি প্রকাশ করা
  • কনটেন্ট এর গুনগত মান বজায় রাখা

সবশেষে এইটা অবশ্যই বলবো যে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া টুলস যেটা আপনি বেছে নিয়েছেন তার কি সহজে সুন্দর করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার তৎপরতা আর কাজগুলি একটি লম্বা সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে  একটি রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষমতা আছে ?  যদি তা থেকে থাকে তাহলে তা কিন্তু খুব ই উপকারি হবে আপনার বসের সামনে রেজাল্ট গুলি তুলে ধরতে।

উপসংহার 

আপনার কোম্পানির জন্য একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস বেছে নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবেই কারণ আপনি যত এই বিষয় গুলি জানতে সময় ব্যয় করবেন আপনি তত বুস্ট প্রোডাক্টিভিটির প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আপনার সঠিক টুলস নির্বাচন আপনার অডিয়েন্সের সাথে ভালভাবে কানেক্ট হতে এবং লীডগুলো কনভার্ট করতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, আপনি যে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস টিই নির্বাচন করুন না কেন, ফুল কমিটমেন্টের আগে  অবশ্যই ট্রায়াল দিয়ে নিবেন।  

লেখক পরিচিতি :

Md.Arifur Rahman

Arifur Rahman, Digital Marketing Expert , SEO Expert , Digital Marketing Trainer, PPC Expert ,Social Media Specialist,Consultant

Digital Marketing Expert । SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top