আপনি কি অনলাইনে আয়ের উপায় খুঁজছেন ??? চাকরি অথবা ব্যবসার বাইরে এক্সট্রা আয়ের উৎস খুঁজছেন ??

চলুন দেখে নেই, অনলাইনে আয়ের উপায় গুলো কি কি । এসবের মধ্যে থেকে আপনি আপনার পছন্দ মত অনলাইনে আয়ের উপায় নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।  

প্রাথমিক ধাপে শুরু করার জন্য যে খুব বেশি ইনভেস্টমেন্ট দরকার হয় তা কিন্তু নয়। তাই হাতে কিছু সময় নিয়ে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন ……..

উপরের কোর্সটি করার জন্য ক্লিক করুন

অনলাইনে আয়ের উপায় – সূচি তালিকা (Table of Content):

১। ব্লগিং (Blogging)

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

৩। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)  

৪। ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Chanel)

৫। ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার (Instagram influencer)

১। ব্লগিং (Blogging)

অনলাইনে আয়ের উপায় গুলোর মধ্যে একটি ভালো উপায় হচ্ছে ব্লগিং।শুরুতে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়টি খুঁজে বের করবেন এবং সে বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করতে পারেন, যেমন আমি গিটার বাজাতে ভালোবাসি এবং গিটার নিয়ে আমি অসংখ্য আর্টিকেল লিখতে পারবো। ঠিক তেমনি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখা শুরু করবেন।  

একবার যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা শুরু করবে, তখন সেখান থেকে আপনি আয়ের বিভিন্ন উৎস খুঁজে বের করতে পারবেন। তখন আপনি চাইলে অন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে,পণ্য বিক্রি করে,স্পনসর অ্যাড দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  

1.শুরুতে ইনভেস্টমেন্টঃ ৩০০০-৫০০০ টাকা

2.অভিজ্ঞতা/স্কিলঃ যে কেউ শুরু করতে পারেন।

3.টাইম ইনভেস্টমেন্টঃ ১-২ ঘন্টা (প্রতি দিন)

4.এক্সপেক্টেড ইনকামঃ প্রতি মাসে ১০,০০০-১,০০,০০০ টাকা হতে পারে (তবে এটা শুরুর দিকে হবে না)

প্রথম ধাপঃ

প্রথমে আপনাকে আপনার পছন্দ মত Domain Name কিনে নিতে হবে। ডোমেইন কেনার জন্য সবচেয়ে ভালো Namecheap .ধরুন আপনি সাইকেল নিয়ে লিখবেন তাহলে আপনার ডোমেইন নাম হতে পারে EASYBIKE.COM আবার আপনি গিটার নিয়ে লিখতে চাইলে   GUITARLESSON.COM এমন টাইপ নাম বেছে নিতে পারেন। অনেক ধরণের হোস্টিং সাইট আছে যেমনঃ GoDady, siteground, Hostgator ইত্যাদি ।

দ্বিতীয় ধাপঃ

ওয়েবসাইট করার জন্য যেসব টুলসের প্রয়োজন হয়ে সেগুলো চেক করে নিতে হবে।  

তৃতীয় ধাপঃ

এই ধাপে আপনাকে ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কিছু টিউটোরিয়াল দেখে নিতে হবে  যেমনঃ কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে হয়,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হয়, কিভাবে ওয়েবসাইট ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে হয় ইত্যাদি।  

চতুর্থ ধাপঃ

তারপর আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ব্লগ কন্টেন্ট লিখতে হয়। সপ্তাহে কমপক্ষে ২/৩ টা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আর্টিকেলে ছবি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক এসব থাকলে ভালো হয়।  

তবে আর্টিকেল কিভাবে প্রমোশন করতে হয় সেটি আপনাকে খুব ভালো ভাবে জানতে হবে। প্রথম দিকে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন রিলেটেড ফেসবুক গ্রূপ গুলোতে শেয়ার করতে হবে।

পঞ্চম ধাপঃ

শুরুতেই গুগল এডসেন্সে কানেক্ট না করা ভালো । ২০/৩০ টি আর্টিকেল আপলোড করে পাবলিশ করার পর কানেক্ট করাই উত্তম।  

ষষ্ঠ ধাপঃ  

আপনাকে খুব ভালো ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) শিখতে হবে। কারণ অর্গানিক ট্রাফিক আপনার সাইটে আনার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিকল্প কোন কিছু নেই।  

সপ্তম ধাপঃ

৩ মাস এভাবে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার পর আপনি অনলাইনে আয়ের উপায় করার এই মাধ্যমে ইনকামের জন্য গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট লিংক গুলো আপনার সাইটে এড করে দিতে পারেন।  

২। এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

আপনি যদি ব্লগিংয়ের চেয়ে ভালো কোন অনলাইনে আয়ের উপায় জানতে চান  তাইলে আমি বলবো আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।আসলে শুনতে  অনেকটা জটিল মনে হয় তবে কাজ শুরু করলে দেখবেন আস্তে আস্তে তা সহজ হয়ে যাবে।  

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ??

খুব সহজ করে যদি বলি আপনি যেকোন প্রোডাক্ট বা পণ্য যদি অন্য কাউকে ব্যবহার করার জন্য রেফার করেন তাহলে তা থেকে আপনি একটি কমিশন পান সেটায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং । যেমনঃ বিকাশ,উবার অ্যাপ আপনি কাউকে রেফার করলে তারা একটি কমিশন দেয়।  

সহজ কোথায় আপনি অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রির জন্য ট্রাফিক জেনারেট করে তাকে সাহায্য করছেন। আর আপনি কত জনকে রেফার করছেন এবং তা থেকে যে রিভিনিউ আসছে আপনি সেটার উপর একটা লভ্যাংশ পাচ্ছেন । এই প্রক্রিয়াটায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।  

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন ?

1.শুরুতে ইনভেস্টমেন্টঃ ৩০০০-৫০০০ টাকা

2.অভিজ্ঞতা/স্কিলঃ যে কেউ শুরু করতে পারেন।

3. টাইম ইনভেস্টমেন্টঃ ১-২ ঘন্টা (প্রতি দিন)

4.এক্সপেক্টেড ইনকামঃ প্রতি মাসে ১০,০০০-১,০০,০০০ টাকা হতে পারে (তবে এটা শুরুর দিকে হবে না)

ধরুন আপনি আমাজনের সঙ্গে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন, তার জন্য যা যা করা লাগবে ?

প্রথম ধাপঃ

প্রথমে আপনাকে একটি প্রফিটেবল প্রোডাক্ট খুঁজে বের করতে হবে মানে যে প্রোডাক্ট রেফার করলে আপনি ভালো একটি কমিশন পাবেন। আমাজন ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করে আপনাকে এই ব্যাপারে সিদ্বান্ত নিতে হবে।   

দ্বিতীয় ধাপঃ

ধরে নিলাম আপনি বাই-সাইকেল খুব পছন্দ করেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন আপনি এটি নিয়ে লিখবেন । আপনার প্রথম কাজ হবে পছন্দমত ডোমেইন খুঁজে বের করা।  NAMECHEAP, Go Dady, siteground, Hostgator থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারেন। তবে বলে রাখা ভাল, আমি আমার হোস্টিং পছন্দ মতো ওয়েবসাইট পেজ ডিজাইন করতে ব্যবহার করুন :

ELEMENTOR PLUGIN FREE DOWNLOAD

তৃতীয় ধাপঃ

আমাজন এফিলিয়েট করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু টুলস সম্পর্কে জানতে হবে ।  আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা নিতে হবে,যেমন কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) করতে হয়।   

চতুর্থ ধাপঃ

এই ধাপে এসে আপনাকে কন্টেন্ট লিখা শুরু করতে হবে। আপনি চাইলে কন্টেন্ট নিজে লিখতে পারেন অথবা কন্টেন্ট রাইটার দিয়েও লিখাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সব কন্টেন্ট ইউনিক হয়।

পঞ্চম ধাপঃ

আপনি যখন দেখবেন আপনার কন্টেন্ট গুগল সার্চ রেজাল্টে ভালো র‍্যাঙ্ক করছে তখন আপনাকে আমাজনের সঙ্গে এফিলিয়েট সহযোগী (affiliate associate)একাউন্ট করে নিতে হবে। অনলাইনে আয়ের উপায় এর এই মাধ্যমটি নিয়ে চাইলে আপনিও কাজ শুরু করে দিতে পারেন।   

make money online, অনলাইনে আয়ের উপায়

৩। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি বেশ সমাদৃত। আমার একটা ছোট ভাই আছে, সে বাংলাদেশের একটা বড় কোম্পানিতে কাজ করতো। স্টুডেন্ট লাইফ থেকে সে ডিজাইনিং পছন্দ করত। ৫ বছর চাকুরী করার পর সে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলো। এখন তার মাসে ইনকাম প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরে যা সে হয়তো চাকুরী করে আরও ৫ বছর পরে ছুঁতে পারত না।  

এখনই ফ্রীল্যান্সিং শুরু করুন : এখানে ক্লিক করুন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক ছোট কাজও আছে যা দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন । শুরুতে হয়তো আপনি ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না কিন্তু আস্তে আস্তে আপনার দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে আয়ও বাড়তে থাকবে। অনলাইনে আয়ের উপায় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং দিন দিন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে ।  

1..শুরুতে ইনভেস্টমেন্টঃ ০ টাকা

2.অভিজ্ঞতা/স্কিলঃ যে কেউ শুরু করতে পারেন।

3.টাইম ইনভেস্টমেন্টঃ ৪-৫ ঘন্টা (প্রতি দিন)

4.এক্সপেক্টেড ইনকামঃ প্রতি মাসে ১০,০০০-১,০০,০০০ টাকা হতে পারে (তবে এটা শুরুর দিকে হবে না)

উল্লেখযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস গুলোর মধ্যে Fiverr এবং Upwork অন্যতম।  

Fiverr একাউন্ট করতে : ক্লিক করুন

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন ?

প্রথম ধাপঃ

শুরুতে আপনি যে বিষয় গুলো আপনি জানেন তার একটা লিস্ট করতে হবে যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ইত্যাদি।  তারপর এসবের মধ্যে যে বিষয় গুলোতে আপনি বেশি দক্ষ সেটি নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে হবে।  

আর যদি মনে করেন, আমি কিছুই জানিনা তাও কোন চিন্তা নেই। এই লিংকে গিয়ে অনলাইনে আয়ের উপায় করার জন্য ৩০ দিনে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফেলুন, তার পর কাজ শুরু করুন। 

দ্বিতীয় ধাপঃ

তারপর যেকোন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে রেজিস্টার করে ফেলুন। তবে শুরুতে fiverr প্ল্যাটফর্ম দিয়ে কাজ আরাম্ভ করা ভালো।  

তৃতীয় ধাপঃ

আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি আপনার প্রোফাইল ভারী হতে থাকবে এবং আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।  

৪। ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel)

ইউটিউব (YouTube) দেখেন না কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করেন বর্তমান সময়ে এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। আর ইউটিউবের অসংখ্য গ্রাহকের কারণেই আপনার আজই ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Chanel) নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত। বর্তমানে অনলাইনে আয়ের উপায় গুলোর মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল অন্যতম ।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel) শুরু করতে পারেন ?

প্রয়োজনে ভিডিওটি দেখুনঃ 

৫। ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার (Instagram influencer)

ইন্সটাগ্রাম দিন দিন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ ছবি সবাই খুব পছন্দ করে।  আপনিও ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার (Instagram influencer) হয়ে চাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন যা অনলাইনে আয়ের উপায় হিসেবে বেশ সমাদৃত । তবে তার জন্য আপনাকে সেলিব্রিটি হতে হবে তা কিন্তু নয়।  

শুরুতে আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
কিভাবে শুরু করবেন ?

1.শুরুতে ইনভেস্টমেন্টঃ ০ টাকা

2.অভিজ্ঞতা/স্কিলঃ যে কেউ শুরু করতে পারেন।

3. টাইম ইনভেস্টমেন্টঃ ৪-৫ ঘন্টা (প্রতি দিন)

4.এক্সপেক্টেড ইনকামঃ প্রতি মাসে ১০,০০০-১,০০,০০০ টাকা হতে পারে (তবে এটা শুরুর দিকে হবে না)

প্রথম ধাপঃ

প্রথমে আপনাকে একটি NICHE নির্বাচন করতে হবে যেমন যদি একজন মেয়ে জুয়েলারি খুব পছন্দ করেন, তাহলে তিনি জুয়েলারি নিয়ে ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার (Instagram influencer) হতে পারেন।  

দ্বিতীয় ধাপঃ  

আপনার অ্যাকাউন্টে অবশ্যই প্রফেশনাল লুক থাকতে হবে। আপনার NICHE সম্পর্কিত অন্য অ্যাকাউন্ট গুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে ।  

তৃতীয় ধাপঃ  

নিয়মিত হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট দেয়ার চেষ্টা করুন করুন।  

চতুর্থ ধাপঃ

ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য শুরুর দিকে কিছু ফলো করুন, দেখবেন তারা আপনাকে ফলো ব্যাক করবে।  

পঞ্চম ধাপঃ

আপনার ফলোয়ার ৫০,০০০+ হলে দেখবেন বিভিন্ন কোম্পানি গুলো আপনার স্পন্সর হওয়ার জন্য যোগাযোগ (approach) করবে।   

লেখক পরিচিতিঃ

Md.Arifur Rahman

Arifur Rahman, Digital Marketing Expert , SEO Expert , Digital Marketing Trainer, PPC Expert ,Social Media Specialist,Consultant, অনলাইনে আয়ের উপায়

Digital Marketing Expert । SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top