এই লেখাটি বিশেষ করে তাদের জন্য, যারা ফেসবুক বুস্টের মাধ্যমে আর আগের মত সেল পাচ্ছেন না। তারা এই ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার করেই দেখুন এর জাদু! আমরা অনেকেই ফেসবুকে শুধু একটা বুস্ট দিয়ে দেই অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দিয়েই আমরা মনে করি কাজ শেষ। এতে যে একদম সফলতা আসে না তা কিন্তু নয় তবে এইসব ফেসবুকের ক্যাম্পেইনগুলো আরো অনেক বেশি কার্যকর করা যেত যদি আমরা ফেসবুক পিক্সেলের ব্যবহার জানতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং কি ??

পিক্সেল শব্দটা শুনেই হয়ত আমরা অনেকে ভেবে নেই যে ছবি জাতীয় বা পিক্সেল জাতীয় কিছু একটা হবে হয়ত। তবে বড় বড় যে মার্কেটাররা থাকেন, তারা কিন্তু এই ফেসবুক পিক্সেলের যথার্থ ব্যবহার করে থাকেন। আর তাদের বিজ্ঞাপনগুলোর সফলতার অন্যতম গোপন রহস্য হল এই ফেসবুক পিস্কেল।

আকর্ষণীয় এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি যদি একজন মার্কেটার নাও হয়ে থাকেন তবুও এই পিক্সেলের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে আরো অনেক বেশি লাভজনক করে গড়ে তুলতে পারবেন। এটার মাধ্যমে ফেসবুক বিজ্ঞাপন বা বুস্টের সর্বোত্তম ব্যবহার আপনি করতে পারবেন।

আজ আমরা কথা বলব এই ফেসবুক পিক্সেল সম্পর্কে, এছাড়া আপনাদের যাবতীয় কৌতূহল মেটাবো এবং ফেসবুক পিক্সেলের গোপন রহস্য উন্মোচন করব। আমরা প্রায়শই বলে থাকি যে বর্তমান অনলাইন জগতে ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই, আর সেই ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং এর এক অন্যতম হাতিয়ার হল এই ফেসবুক পিক্সেল।

ফেসবুক পিক্সেল কি?

আমরা যারা অনলাইন বিজ্ঞাপনের সাথে জড়িত আছি তাদের মোটামুটি সবারই Google Analytics সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। গুগুলের এই ফ্রি টুলটির মাধ্যমে আমরা আদতে জানতে পারি যে আমাদের সাইটে কতজন ভিজিটর রয়েছে আর তারা কোন এলাকা থেকে এসেছে, তাদের বয়স কত ইত্যাদি।

Social Media Marketing MASTERY | Learn Ads on 10+ Platforms

তবে এটুকু ধারণা দিয়ে আমরা ব্যবসাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না। এর পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে এই ভিজিটররা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ঠিক কি করছে? কোন পণ্যটি বেশি পছন্দ করছে এবং কোন বয়সী ভোক্তা কোন পণ্য ক্রয় করছে। এমন বিস্তারিত রিপোর্ট আমরা ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে পেতে পারব। 

AliExpress.com Product – Gorben Stainless Steel Men Fashion Casual Pocket Watch Skeleton dial Silver Hand Wind Mechanical Male Fob Chain Watches

ফেসবুকের এই আপডেটটি সম্পর্কে এখনো অনেকেই তেমন একটা না জানলেও চমৎকার এই টুলটি ব্যবহার করে ব্যবসার অনেক বেশি প্রসার করা সম্ভব। এছাড়া বর্তমান অনলাইন বিজ্ঞাপন অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

আরও পড়ুন : বর্তমানে যে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে সবাই সফল হচ্ছেন

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন :

The Complete Digital Marketing Course – 12 Courses in 1-By UDEMY

নাম কেন পিক্সেল রাখা হল?

শুরুতে যেটা বলেছিলাম অনেকেই ভেবে থাকেন পিক্সেল মূলত ছবি বা এই রিলেটেড কিছু একটার সাথে সম্পৃক্ত। তাদের ধারণাটি কিছুটা হলেও ঠিক! মজার ব্যাপার হল ফেসবুক পিক্সেল আপনার ওয়েবসাইটের এক পিক্সেল সম পরিমাণ জায়গা দখল করে নেয়। আর সেই জায়গা থেকেই প্রত্যেকবার যখন ইমেজ লোড হতে থাকে, যাবতীয় তথ্যাবলি আপনার ফেসবুক এড ম্যানেজারের মাধ্যমে সংগৃহীত হতে থাকে।

পিক্সেলের সংগৃহীত তথ্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

আপনি বিজ্ঞাপন বিশেষজ্ঞ হন অথবা নিজের ব্যবসার মালিক হন, আপনার কাছে তথ্য এবং উপাত্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন আপনি মিষ্টি বিক্রয় করেন, এখন ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসার প্রসার করতে চাচ্ছেন।

আকর্ষণীয় এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন আর সেখান থেকে বিক্রয়ও হচ্ছে, কিন্তু বেলা শেষে দেখা যাচ্ছে আপনার বিজ্ঞাপন খরচ আর লাভের পরিমাণ একই। তাহলে এখন আপনি কি করবেন? ঠিক এখানেই আসে ফেসবুক পিক্সেলের ভূমিকা। ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে আপনি যে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সেটার যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।

ধরুন আপনি জানতে পারলেন যে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী কেউ আপনার পণ্য তেমন একটা ক্রয় করছে না। ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা আপনার পণ্য বেশি ক্রয় করছে। আর তারা বেশীরভাগই ঢাকার অধিবাসী। তাহলে তো আপনার ১৬-২৫ বছর বয়সীদের কাছে বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রয়োজন নেই। এই অতিরিক্ত খরচটি আপনি কমিয়ে নিয়ে এসে, সেই বিজ্ঞাপনের টাকা ২৬-৩৫ বছর বয়সীদের কাছে বেশি পৌঁছে যেতে পারবেন এবং স্বাভাবিক ভাবেই আপনার পণ্যের বিক্রয়ও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।

How To Build A Brand On Social Media! (2020)

আরও পড়ুন : ফেসবুক নিয়ে অজানা কিছু তথ্য

আবার দেখা গেল এই ২৬-৩৫ বছর বয়সীদের বেশীরভাগ মানুষই কেবল শুক্রবার এবং শনিবার আপনার পণ্যটি ক্রয় করছে। এখন রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারের বাড়তি বিজ্ঞাপন খরচটিও যদি আপনি শুক্রবার এবং শনিবারের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রয় আরো বৃদ্ধি হবে।

ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে আপনি এই ধরণের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং আপনার ভোক্তাদের যাবতীয় তথ্য উপাত্তগুলো খুব সুন্দর সাজানো গোছানো অবস্থায় পেয়ে যাবেন। এই ডেটা বা তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি বিজ্ঞাপনের খরচ বাদ দিয়েও অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন।  

ফেসবুক পিক্সেলের কাজ কি?

ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে আপনি নিজের করা বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনগুলোকে আরো অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে আরো বেশি লাভজনক করে তুলতে পারবেন। ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে আপনি আরো যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পাবেন সেগুলো হলঃ

  • কে ক্রয় করছে, কখন ক্রয় করছে ইত্যাদি তথ্য পাবেন
  • কতজনের কাছে বিজ্ঞাপন পৌঁছেছে আর তাদের মধ্যে কয়জন ক্রয় করছে
  • তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে নিজের পণ্যের জন্য আলাদা অডিয়েন্স টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন
  • একটি ক্যাম্পেইন হতে প্রাপ্ত তথ্য আপনি বারবার কাজে লাগাতে পারবেন

আপনার ভোক্তাদের হতে প্রাপ্ত তথ্য আপনি কাজে লাগিয়ে নিজের ব্যবসাকে আরো অনেক সমৃদ্ধ করতে পারবেন। যেমন একটু আগেই বলছিলাম আপনি যখন দেখতে পারছেন যে ১৬-২৫ বছর বয়সী কেউ আপনার পণ্য ক্রয় করছে না, তখন সেই বয়সীদের আকৃষ্ট করার জন্য আপনি অন্য কোন পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। এই তথ্য এবং উপাত্ত আপনাকে নতুন ভাবে ভাবার অবকাশ করে দিবে।

ফেসবুক পিক্সেলের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন আসুন দেখে নেই কীভাবে এই ফেসবুক পিক্সেল ইন্সটল করতে হয় এবং কিভাবে আপনি বিজ্ঞাপনের সময় পিক্সেলকে কাজে লাগাতে পারবেন।

আরও পড়ুন : কিভাবে সহজ ৭ টি ধাপে ফেসবুক পেজ বানাবেন

The Ultimate SEO, Social Media & Digital Marketing MASTERY

কীভাবে ফেসবুক পিক্সেল ইন্সটল করতে হয়?

প্রত্যেকটি পিক্সেল অন্য পিক্সেল থেকে একদমই ভিন্ন হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটির আলাদা আইডি নাম্বার দেয়া থাকে। যাতে করে একটির তথ্য অন্য পিক্সেলের তথ্যের সাথে মিক্স না হয়ে যায়।

আপনি যদি এর আগে পিক্সেল তৈরি না করে থাকেন এবং এটাই আপনার প্রথমবার হয়ে থাকে, তাহলে একটু মনোযোগ দিয়ে দেখুন। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় বা পদ্ধতি আছে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতেই হবে।

আপনার প্রথম পিক্সেলটি তৈরি করার জন্য প্রথমেই আপনার ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজারে লগ-ইন করুন। উপরের ডান দিকে মেনু বাটনে ক্লিক করুন এবং ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে “pixels” লেখাটির উপর ক্লিক করুন। তাহলে একটি উইন্ডো ওপেন হবে, যেখানে আপনি এই পিক্সেল তৈরির প্রক্রিয়াটি শুরু করতে পারবেন।

এখানে আপনি “create a pixel” লেখাটিতে ক্লিক করুন। এরপর আরেকটু উইন্ডো চলে আসবে সেখানে আপনার পিক্সেলের নাম অর্থাৎ নিজে বুঝার সুবিধার্থে আপনি এই পিক্সেলটির যে নাম রাখতে চান সেটা দিল এবং আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল দিয়ে দিন।

আপনি যখনই নাম আর ইউআরএল দিয়ে ডান পাশের নিচের “create” বাটনে ক্লিক করবেন সাথে সাথেই ফেসবুক আপনার জন্য একটি স্নিপেড কোড তৈরি করে ফেলবে। এখন আপনাকে এই কোডটি আপনার ওয়েবসাইটে প্লেস করতে হবে, যাতে ফেসবুক পিক্সেল ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারে। আপনার ওয়েবসাইটে পিক্সেল কোডটি তিন ভাবে প্লেস বা ইন্সটল করতে পারবেনঃ

১। আপনি নিজেই এই কাজটি করতে পারেন

২। বিস্তারিত একজন ডেভেলপারকে দিতে পারেন, যাতে তিনি কোডটি আপনার ওয়েবসাইটে প্লেস করে দেন

৩। গুগুল ট্যাগ ম্যানেজারের সাথে আপনার ফেসবুক একাউন্টটি কানেক্ট করে নিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার গুগুল ট্যাগ ম্যানেজারকে ওয়েবসাইটের একসেস দিতে হবে যাতে।

আপনি নিজে যদি ফেসবুক পিক্সেল ইন্সটল করতে চান তাহলেও দুই পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।

কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রথমত আপনি যদি wix,  Squarespace, Weebly এর মত ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেখানে আপনি ফেসবুক পিক্সেল কোড প্লেস করার জন্য অপশন পাবেন। সেখানে আপনি জাস্ট ফেসবুক পিক্সেলের কোডটি প্রবেশ করে “save” বাটনে ক্লিক করে দিবেন। ব্যাস! আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না, এখানকার কাজ আপাতত শেষ।

তবে আপনি যদি আরেকটু জটিল কোন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন, যেমন নিজস্ব কাস্টোম ভাবে কোড করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন অথবা ওয়ার্ডপ্রেসের মত ওয়েবসাইট বিল্ডার নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনাকে একটু ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

আপনাকে ফেসবুক পিক্সেলের কোড কপি করার সেই জায়গায় একটি অপশন পাবেন সেখান থেকে স্ক্রিপ্টটি আপনাকে কপি করে নিতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের HTML এর হেডার (Head) ট্যাগ এর মধ্যে এই স্ক্রিপটি কপি পেস্ট করে দিতে হবে। অতঃপর সেভ করে নিতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের এডিটর!

এখন আপনি ওয়েবসাইটে ফেসবুক পিক্সেল সেট-আপ করে নিলেন। এরপর আপনাকে যে নির্দিষ্ট তথ্য আপনি সংগ্রহ করতে চান তার উপর একটি করে ইভেন্ট তৈরি করতে হবে। যেমন আপনি যদি “বিক্রয়ের” তথ্য চান তাহলে আপনাকে “বিক্রয়” এর উপর ইভেন্ট তৈরি করতে হবে। এভাবেই আপনি লোকেশন, যোগাযোগ, সার্চ, পেজ ভিউ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য আলাদা করে ইভেন্ট তৈরি করে নিবেন। 

এই ধরণের ইভেন্ট সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকেঃ

  • স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্ট
  • কাস্টোম ইভেন্ট।

স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্ট কীভাবে সেট-আপ করতে হয়

এবারেও যদি আপনি Wix, Squarespace এর মত ওয়েবসাইট বিল্ডার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেখানে খুব সহজেই আপনি ইভেন্ট তৈরি করার এমন অপশন পেয়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ! আবারো আগের মত আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস বা কাস্টোম ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন তাহলে এই ইভেন্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে ফেসবুক হেল্প সেন্টারের সহযোগিতা গ্রহন করতে হবে।

পিক্সেল রিলেটেড ফেসবুক হেল্প সেন্টারে বিভিন্ন ধরণের ইভেন্টের জন্য আলাদা সিঙ্গেল লাইন কোড রয়েছে। সেই কোডটি আপনি জাস্ট আগের কোডের মধ্যে কপি পেস্ট করে দিবেন।

আর এই প্রক্রিয়াটি যদি আপনার কাছে জটিল মনে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করুন। ওয়েব ডেভেলপার খুব সহজেই আপনার এই ফেসবুক পিক্সেল কোডটি এবং ইভেন্ট তৈরি করে দিতে পারবেন আপনার জন্য।

কাস্টোম ইভেন্ট কীভাবে তৈরি করতে হয়

আদতে আপনি যদি স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্টের বাইরেও অন্য কিছু ট্র্যাক করতে চান তাহলে কাস্টোম ইভেন্ট ব্যবহার করতে হবে। আবার কাস্টোম ইভেন্ট আপনার ওয়েবসাইটের খুব কম তথ্যই ফেসবুকের সাথে শেয়ার করে থাকে  আপনার কাছে নিজের ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি যদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কোন ইস্যু হয়ে থাকে তাহলে কাস্টোম ইভেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

তবে স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্টের মত কাস্টোম ইভেন্ট অতটা সহজ নয় বরং এই বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ডেভেলপার অথবা কোডিং এক্সপার্টের সাহায্য আপনাকে নিতে হবে। একদমই ইউনিক ভাবে তৈরি করা কোডের মাধ্যমে এই কাস্টোম ইভেন্ট তৈরি করে নিতে হয়, যার জন্য আপনাকে ফেসবুক পিক্সেল রিলেটেড অনেক এডভান্স লেভেলের কোডিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

তবে আপনার যদি কোন ডেভেলপার তাৎক্ষনিক ভাবে না থাকে, তাহলে আপনি গুগুল ট্যাগ ম্যানেজারের মাধ্যমেও ফেসবুক পিক্সেল সেট-আপ করে নিতে পারেন। কীভাবে আপনি একটি কাস্টোম ইভেন্ট তৈরি করতে পারবেন সেই প্রসেস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনি গুগুল ট্যাগ ম্যানেজারের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি সম্পূর্ণ সেট-আপ প্রসেসটি শেষ করে ফেলবেন তখন Facebook Pixel Helper Chrome Extension এর মাধ্যমে সেই পিক্সেলটি কাজ করছে কি না সেটা দেখে নিতে পারেন।

এই এক্সটেনশনের মধ্যে আপনি সিগন্যাল পাবেন, যদি আপনাকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয় তাহলে বুঝতে হবে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। এখন আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপন থেকে চমৎকার সব তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

পরিশেষে, আপনি যদি একদম কোডিং রিলেটেড অনেক এক্সপার্ট কেউ না হয়ে থাকেন তাহলে স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্টের মাধ্যমেই ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্টের মাধ্যমেও কিন্তু আপনি জরুরী প্রায় সব ধরণের তথ্য এবং উপাত্তই সংগ্রহ করতে পারবেন। নিজের ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারের জন্য ফেসবুক পিক্সেল বর্তমানে খুব চমৎকার একটি মাধ্যম আর প্রযুক্তির এই সময়ে প্রযুক্তিকে আর অবহেলা নয়। নিজের সমৃদ্ধির জন্যই পিক্সেলের মত নিত্য নতুন প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে নিন এবং ব্যবসার সুদূর প্রসারী ফলাফল উপভোগ করুন।

আরও পড়ুন :

৫০টি অনলাইন টুল যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই অফিসের মত কাজ করতে পারবেন!

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেসব কাজগুলো দিয়ে সব চাইতে বেশি আয় করা সম্ভব !

সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করেও সফলতা পাচ্ছেন না ? জেনে নিন তার কারণ

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top