বেশীরভাগ সময়েই ক্লায়েন্টরা বলে থাকেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য স্ট্র্যাটেজিগুলো কি আদৌ কাজে দিচ্ছে কিনা তারা সেটা তাৎক্ষণিক ভাবে ঠিক বুঝতে পারছেন না।

শুধুমাত্র একটি চমৎকার ওয়েবসাইট এবং ভালো মানে কন্টেন্ট হলেই কি ওয়েবসাইট গুগুলে র‍্যাংক করানোর জন্য যথেষ্ট নয় ? আপনার কি আদতেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করা উচিৎ ? 

এর উত্তর হল, হ্যাঁ! আপনার আসলেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করা উচিৎ । আসুন জেনে নেই, কেন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করা উচিৎ। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ 

ডিজিটাল মার্কেটিং সহজ নাকি কঠিন ?

সদ্য নতুন তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট কিছুটা ছোট শিশুর মত, কেননা আপনার ওয়েবসাইট নিজে থেকে কিছুই করতে পারবে না। আপনার ওয়েবসাইটকেও বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে অনেক বড় এবং ভালোমানের একটি ওয়েবসাইট হিসেবে তৈরি করে নিতে হবে।

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

তাই আপনার উদ্দেশ্য যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সবাইকে জানান এবং ব্যবসায়িক ভাবে সফল হওয়া, তাহলে ওয়েবসাইটে বেশ কিছু কাজ আপনাকে একদম নিয়মিতই করতে হবে।

AliExpress.com Product – 2020 New stainless steel Digital Watch Men Sport Watches Electronic LED Male Wrist Watch For Men Clock Waterproof Bluetooth Hour

এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করার আরেকটি অন্যতম কারণ হল, কেউ কোন কিছু একা একা করতে পারে না। আপনার অবশ্যই একজন ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে হবে অথবা নিজেই ধীরে ধীরে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে উঠুন। 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করাটা বেশ লাভজনক

ক্লায়েন্টরা প্রায় সময় বলে থাকেন যে, একবার এসইও করে দিলে হয় না, কেন এটা সবসময় করে যেতে হবে ? এছাড়া আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তার মানে এই নয় যে গুগুল সার্চ রেজাল্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট আসবে।

আপনাকে একটি বিষয় বুঝতে হবে যে, প্রতিনিয়ত লাখ লাখ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে এবং সবাই চেষ্টা করছে সার্চ রেজাল্টে নিজেদের উপরে নিয়ে আসতে। এই প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিনিয়তই ডিজিটাল মার্কেটিং করে যেতে হবে।

তবে তার জন্য প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটকে হতে হবে নিরাপদ এবং ভালো মানের। পাশাপাশি থাকতে হবে ভালো কন্টেন্ট এবং ওয়েবসাইট লোড হওয়ার গতি থাকতে হবে বেশি। এছাড়া, ওয়েবসাইটে ভিজিটররা যেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সেদিকেও থাকতে হবে বাড়তি সতর্কতা। 

পরবর্তী ধাপটিই হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং এটিই হলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচাইতে বড় হাতিয়ার।  এসইও দুই প্রকারের হয়ে থাকে, আর সেগুলো হলঃ টেকনিক্যাল এসইও এবং অনপেজ এসইও।

টেকনিক্যাল এসইও সাধারণত আপনার ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে যেমনঃ কোডিং ঠিক হচ্ছে কি না, ডিজাইন ঠিক আছে কি না সহ আরো অনেক কিছু।

অপরদিকে অনপেজ এসইও হল, আপনার কন্টেন্ট নিয়ে অর্থাৎ আপনার কন্টেন্টগুলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড হচ্ছে কি না, কন্টেন্টের মধ্যে কিওয়ার্ড আছে কি না আবার সেই কিওয়ার্ড র‍্যাংক করছে কি না ইত্যাদি। 

আসুন দেখে নেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম স্ট্র্যাটেজি এসইও করার মাধ্যমে যে সকল উপকার আপনি পেতে পারেনঃ   

১। সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে উঠে আসা 

গুগুলে র‍্যাংক করতে হলে এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কোন বিকল্প নেই। এসইও এর মাধ্যমে আপনি গুগুল র‍্যাংকিং এর বেশ কিছু পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন, যার মাধ্যমে অন্যান্য লাখো ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগুল সার্চ রেজাল্টে প্রথমের দিকে নিয়ে আসবে। এসইও করলে নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটের নতুন পেজ এবং পোস্টগুলো সার্চ কনসোলের মধ্যে ইন্ডেক্সিং হতে থাকবে।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ 

যেভাবে গুগলে ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করবেন !!

প্রতিবার নতুন করে ইনডেক্স করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ রেজাল্টে আরো উপরের দিকে অথবা নিচের দিকে নেমে আসার সম্ভাবনা থাকে। আর ঠিক একারণেই এসইও আপনার সবসময় করে যেতেই হবে। নিত্য নতুন গুগুলের আপডেটের সাথে আপনার কন্টেন্টগুলোকে মানিয়ে নিতে হবে।  

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

২। ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে 

গুগুল সার্চ রেজাল্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট ঠিক যতটা উপরের দিকে উঠে আসবে আপনার ওয়েবসাইটে ঠিক ততই ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। আর যত বেশি ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে আপনার ব্যবসা অথবা ওয়েবসাইট থেকে আপনি তত বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

গুগুল সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইট যত উপরের দিকে থাকবে সেই ওয়েবসাইটে ঠিক ততই ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে

ভিজিটরদের মধ্য থেকে যদি ৫ শতাংশ মানুষও আপনার পণ্য ক্রয় করে তাহলে বুঝতেই পারছেন, আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসতে থাকবে আপনার উপার্জন ততই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। 

৩। ভিজিটররা ওয়েবসাইট ব্রাউজিংয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবে না 

টেকনিক্যাল এসইও এর মাধ্যমে নিরাপত্তা, ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড সহ ওয়েবসাইটের যাবতীয় খুঁটিনাটি সমস্যার দিকে নজর রাখা সম্ভব হয়। আর এইসব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটটি ব্রাউজিং এর সময় কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। 

আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের স্বাচ্ছন্দ্য ভিজিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর উপরেই আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং অনেকখানি নির্ভর করে থাকে।  

কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করলে সেটা লাভজনক হয়েই বেশীরভাগ সময় ফেরত আসে

যে কোন কোম্পানির জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান সময়ে এটা বলা হয়ে থাকে  যে, “সবচাইতে সেরা মার্কেটিং হল কন্টেন্ট মার্কেটিং”। তবে অনেক কোম্পানি এখনো কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে তেমন একটা সচেতন নয়। অবশ্য এমনটা ভাবার পেছনে কিছু কারণও রয়েছে, বেশীরভাগ কোম্পানি মনে করে থাকেঃ 

>> কন্টেন্ট মার্কেটিং কেবলমাত্র ব্লগিং অর্থাৎ আর্টিকেল ছাড়া আর কিছুই নয় 

>> আর্টিকেল কেবলমাত্র খাবার ও ভ্রমণের জন্যই কাজে দেয় 

>> অনেক কোম্পানি আছে, অল্প বিস্তর চেষ্টা করেছে কিন্তু তেমন কোন ফলাফল পায় নি

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ 

কীভাবে একজন কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন ?

এখানে একটা বিষয় সবাই বুঝতে পারে না যে, শুধুমাত্র আর্টিকেল অথবা ব্লগই কন্টেন্ট নয়। সেটা হতে পারে একটি চমৎকার ভিডিও অথবা একটি সুন্দর ডিজাইন করা ছবি! আর এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য খুব সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায়। 

তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি পণ্য বিক্রয় করে থাকেন তাহলে শুধুমাত্র ব্লগ বা আর্টিকেলের মাধ্যমেও আপনার বিক্রয়ের হার দ্বিগুণ করে দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, আপনাকে এসইও আর্টিকেল লিখে যেতে হবে এবং সেটা বেশ নিয়মিতই করতে হবে। 

৪। নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে অপটিমাইজড করা   

নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে যে কোন কন্টেন্ট ভালো করে অপটিমাইজড করে রাখলে, সেই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে যখন কেউ সার্চ করবে তখন আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করবে। এসইও এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে বলা হয়ে থাকে “অন পেজ অপটিমাইজেশন”।  এই পদ্ধতির মধ্যে বেশ কিছু বিষয় থাকে, যেমন কিওয়ার্ডটি কতবার আর্টিকেলের মধ্যে এসেছে, হেডলাইনের মধ্যে কিওয়ার্ডটি আছে কি না, মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ডটি আছে কি না ইত্যাদি। 

৫। লিংক বিল্ডিং করা অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা 

এসইও (SEO) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক, সাইট রাঙ্ক করতে ভূমিকা পালন করে

এসইও এর একদম প্রথম দিকে যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যে বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে, সেটি হল ব্যাকলিংক অর্থাৎ অন্যান্য ওয়েবসাইট বা মানুষরা আপনার আর্টিকেলটিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন কি না। আপনার ওয়েবসাইটের যত বেশি ব্যাকলিং থাকবে আপনার ওয়েবসাইটটি তত বেশি র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকবে।

৬। লিড জেনারেশন অর্থাৎ ভিজিটরদের থেকে পণ্য অথবা সেবা বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন 

পণ্য অথবা নির্দিষ্ট সেবাটি বেশি বেশি বিক্রয় হোক আরো বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ুক, এমনটি কেই না চায় ? আর হ্যাঁ! ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করে এর মাধ্যমে এটি করা একদমই সহজ।

সাধারণত কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে “সাবস্ক্রাইব” নামে একটি বাটন থাকে, কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন এই সাবস্ক্রাইব এর মাধ্যমে কি হয় ? 

আদতে এই সাবস্ক্রাইবারদের পরবর্তীতে নির্দিষ্ট পণ্যের বিজ্ঞাপন করা হয়। যেহেতু তারা আগে থেকেই আপনার বিষয় আগ্রহী তখন তারা খুব সহজেই আপনার পণ্যটি ক্রয় করে নেয়।

যে কোন চমৎকার একটি ইনফোগ্রাফ অথবা ভিডিওয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি টার্গেটেড কাস্টোমারদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। 

৭। বিজ্ঞাপনের সবগুলো মাধ্যমকেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ব্যবহার করা হয়

আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় না থাকে তাহলে বিজ্ঞাপনের সবগুলো মাধ্যমকে একসাথে কার্যকর রাখাটা বেশ কষ্টসাধ্য ও দুরহ ব্যপার।

আর এখানেই আসে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট বিষয়টি, আপনি যদিউও ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার একজন কন্টেন্ট রাইটার বা লেখক লাগবে যে কি না সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পোস্টগুলো খুব সুন্দর করে লিখে দিবে।

অথবা আপনার ভিডিও কন্টেন্টগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট লিখে দিবে। আবার আপনার প্রয়োজন হতে পারে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার অথবা একজন ভিডিও এডিটর। আর তাই এই ধরণের বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আপনি যখনই কোন সেবা গ্রহণ করবেন তাদের বিনিময়ে মূল্য দিতে হবে। 

আর এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করা অর্থই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ফলাফল স্বরূপ আপনার কোম্পানির প্রসার অথবা পণ্য বিক্রয়ের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে ফেরত পেয়ে যাবেন। আর তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করুন, কিছু টাকা খরচ করুন যাতে বিজ্ঞাপনের সবগুলো মাধ্যমকেই একসাথে কাজে লাগানো যায়। 

সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট ফেরত আসবে দ্বিগুণ অথবা বহুগুণ আকারে !

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবগুলো মাধ্যমের মধ্যে ইনভেস্ট করার জন্য যখন আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় হয় না তখন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেই বেশ কার্যকরী ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডগুলো ফলো করে তার সাথে তাল মিলিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে নিয়মিত ফলাফল অর্জন করা বেশ কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। তবে আপনার কোন একটি নির্দিষ্ট কন্টেন্ট যদি ভাইরাল হয়ে উঠে তবে আপনার কোম্পানির প্রচার এবং প্রসার খুব সহজেই বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। 

যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ফ্যান ফলোয়ার সমৃদ্ধ একটি ফ্যান পেজ অথবা আইডি আপনার ওয়েবসাইটের রাঙ্কিংয়ে সরাসরি বৃদ্ধি করবে না তবে এসইও এর ক্ষেত্রে বড় একটি ফ্যান পেজ অনেক পরোক্ষ ভূমিকা রাখে। আসুন সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেইঃ 

>> সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া মানে ব্যাকলিংক তৈরি হওয়ার সুযোগ 

>> ভিজিটর বৃদ্ধি পাওয়া মানেই আপনার প্রসার বৃদ্ধি পাওয়া এবং নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড র‍্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা

>> কাস্টোমারদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি 

>> সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ঠিকানা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারে

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অনন্য একটি মাধ্যম হল এই সোশ্যাল মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খুব সহজেই আপনার ইনভেস্টমেন্ট তুলে নেয়া সম্ভব। 

৮। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব 

সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন আপনি কাস্টোমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন এবং তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখবেন তখন অচিরেই আপনার সবাই বিশ্বাস করা শুরু করবে। তখন যে কোন পণ্য ক্রয়ের জন্য আপনাকে বেছে নেয়ার সম্ভাবনা প্রবল।  

এছাড়া আপনার যদি কোন ধরণের অফার বা ডিসকাউন্ট কোড দিতে চান তাহলে সেটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পারফেক্ট একটি মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া।

তখন আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া সেই অফার থেকে কতজন আপনার ওয়েবসাইটে এসেছে এবং পণ্য ক্রয় করেছে। 

৯। কোম্পানির প্রচার এবং প্রসার 

চমৎকার ও নান্দনিক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থাকা মানে আপনার সম্পর্কে অনেক বেশ মানুষ জানতে পারছে। এছাড়া আপনার কোম্পানিটি কি এবং কিসের উপর কাজ করছে সেটা খুব সহজেই মানুষ জানতে পারছে।

প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া খুব চমৎকার একটি মাধ্যম। আর প্রচারেই প্রসার এ কথা নতুন করে বলার আর কিছু নেই।

সেবা বা ব্যবসার প্রচার এবং প্রচারনায় সোশ্যাল মিডিয়া একটি কার্যকরী মাধ্যম

আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার নির্দিষ্ট একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার সাথে আপনার ওয়েবসাইটের সরাসরি সম্পৃক্ততা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংকিং অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে।

এছাড়া যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ আপনার সম্পর্কে জানল, তখন আপনার সম্পর্কে আরো জানার জন্য তারা গুগুলে সার্চ দিতে পারে। আর সেক্ষেত্রে আপনার সার্চ র‍্যাংকিং ও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১০। সোশ্যাল মিডিয়ার সার্চে র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধি পায় 

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যখন আপনি বেশ খানিকটা ছড়িয়ে যেতে পারবেন তখন হয়ত আপনার কাস্টোমাররা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার সম্পর্কে আরো বেশি জানার জন্য সার্চ দিবে। আর সবচাইতে মজার ব্যাপার হল শুধুমাত্র গুগুলেই যে সার্চ র‍্যাংকিং এর মাধ্যমে

আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে ব্যাপারটি মোটেও তা নয়। কেননা বর্তমানে গুগুলের পর সবচাইতে বেশি সার্চ হয় ইউটিউবে। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতেও যদি আপনি এমন র‍্যাংক বৃদ্ধি করে ফেলতে পারেন তাহলে সর্বগুনে গুণান্বিত হওয়ার সুবিধা আপনার সার্চ র‍্যাংকিয়ে অটোমেটিক ভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে। 

আর যখন লোকাল এসইও এর বিষয়টি আসে তখন এইসব সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয়া রিভিউগুলো আপনার জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাশপাশি আপনি যখন আপনার সন্তুষ্ট কাস্টোমারদের গুগুলে রিভিউ দিয়ে যেতে বলবেন তখন তারা সানন্দে গুগুলে রেটিং দিয়ে যাবে। 

লোকাল এসইও এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দেয়া কাস্টমার দের রিভিউ ভিজিটরা ফলো করে থাকে

১১। কাস্টোমারদের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় 

অনলাইনে কাস্টোমারদের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা রাখলে তার অনুকূল প্রভাব আপনার বিক্রয়ের মধ্যেও আসবে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাস্টমার কেয়ার এবং কাস্টমারের সন্তুষ্টি নামক এই পন্থাগুলো বেশ কার্যকরী বটে।

কেননা আপনি সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন আপনার কাস্টমাররা ঠিক কি চাচ্ছে এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল থেকেও তাদের সম্পর্কে অনেক আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। 

এছাড়া কাস্টমাররা যখন আপনার সম্পর্কে কোন নেগেটিভ রিভিউ দেয় তখন সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে নিজেকে আরো অনেক বেশি উন্নত করা সুযোগ রয়েছে।

এছাড়াও আপনি ঠিক কোন অংশটিতে বেশ ভালো করছেন সেটাও খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এবং সেখানে আরো বেশি উন্নতি করার সম্ভাবনা আছে। 

আশা করি আপনি ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবগুলো মাধ্যম ঠিক কতটা কার্যকরী। আর তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনি যখন কোন ইনভেস্ট করবেন তখন তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ফলাফল না আসলেও সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনা এবং প্ল্যানিং নিয়ে এগোতে থাকলে সেই ইনভেস্টমেন্ট আপনার কাছে বহুগুণে ফেরত আসবে।

বর্তমান সময়টা ডিজিটাল যুগ আর এই ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং না করা মানে একধাপ পিছিয়ে থাকা। তাহলে কেনই বা আর যুগের থেকে পিছিয়ে থাকবেন? শুধুমাত্র একটি সিদ্ধান্তই পারে আপনার ব্যবসার বহুগুণ প্রচার এবং প্রসার করতে ! 

লেখক পরিচিতিঃ

Md.Arifur Rahman

Arifur Rahman, Digital Marketing Expert , SEO Expert , Digital Marketing Trainer, PPC Expert ,Social Media Specialist,Consultant, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট

Digital Marketing Expert | SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top