২০২২ সালে যে জব গুলো চাহিদার শীর্ষে থাকবে সেটা জানা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি এই জব গুলোর জন্য আপনি নিজেকে কিভাবে তৈরী করবেন সে বিষয়ে জানাটাও জরুরি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে না চলার কারণে কেউ কেউ আমরা ক্যারিয়ার থেকে ছিটকে পড়ি। তাই বর্তমান বিশ্বে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার না গড়তে পারেন তাহলে হয়তো একসময় হারিয়েই যাবেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতেই ছোটবেলার একটি ছড়া কথা মনে পরে গেলো:

“আব্বা বলেন অংকে দে মন, আম্মা বলেন বাংলা,

চাচা বলেন এসব ছেড়ে ইংরেজিটা সামলা,

কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি সব বিষয়ে হামলা,

তাইতো এবার পরীক্ষাতে, পেয়েছি এক গোল্লা। “

আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই ক্যারিয়ার এর হয়তো এই অবস্থা ।

কোর্সটি করতে হলে ক্লিক করুন

এই আর্টিকেলে ২০২২ সালে যে জব গুলো চাহিদার শীর্ষে থাকবে আমরা সে গুলো নিয়ে আলোচনা করবো :

সিস্টেম এনালিস্ট :

সিস্টেম এনালিস্ট :

সাধারণত কোম্পানির সব সিস্টেম ঠিক ভাবে চলছে কিনা এবং সেগুলো কোথাও সমস্যা হলে সামাধান করে সিস্টেম এনালিস্টের কাজ। তাছাড়া কোম্পনীর সিস্টেম ডুকমেন্টস অডিট ইত্যাদি কাজও সিস্টেম এনালিস্টের কাজ, সাধারণত সিস্টেম এনালিস্টের মাসিক বেতন হয়ে থাকে বছরে ১,৪৫,০০০ ডলারের মত।

ব্লকচেইন ইঞ্জিনিয়ার :

ব্লকচেইন ইঞ্জিনিয়ার :

এরা সাধারণত ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে কোম্পনীর বিভিন্ন ধরণের সলুয়েশন তৈরী করে। একজন ব্লকচেইন ইঞ্জিনিয়ার এর বার্ষিক যায় বছরে ১,৫০,০০০ ডলারের মত।

প্রোডাক্ট ম্যানেজার :

প্রোডাক্ট ম্যানেজার :

যুগের চাহিদা অনুযায়ী কি প্রোডাক্ট নিয়ে আশা যায় সেটি নিয়ে কাজ করে প্রোডাক্ট ম্যানেজার এর কাজ। সাধারণত একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার এর স্যালারি বছরে ১,৬০,০০০ ডলারের বেশি হয়ে থাকে।

ফুল স্ট্যাক ডেভেলাপার :

ফুল স্ট্যাক ডেভেলাপার :

একটি ওয়েবসাইট কিংবা যেকোন ধরণের ডিজিটাল প্রোডাক্টের ফ্রন্ট ইন্ড এবং ব্যাক ইন্ড যার সব ব্যাপারে ভালো ধারণা আছে তাকেই ফুল স্ট্যাক ডেভেলাপার বলা হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী ফুল স্ট্যাক ডেভেলাপার এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেভ -অপস ইঞ্জিনিয়ার :

ডেভ -অপস ইঞ্জিনিয়ার :

ডেভ -অপস ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত এমন একজন আইটি বিশেষজ্ঞ যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট , সিস্টেম অপারেটর এবং আইটির অন্যান্য বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করে। এই ধরণের আইটি বিশেষজ্ঞদের সেলারি সাধারণত বছরে ১৮০০০০ ডলার এর মত হয়ে থাকে।

ডাটা সাইন্টিস্ট:

ডাটা সাইন্টিস্ট:

এদের প্রধান কাজ হচ্ছে কোম্পানির ডাটা এনালাইসিস করে কোম্পানির সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা। ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এই ডাটা সাইন্টিস্টদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এদের সেলারিও নেহায়েত কম নয় , প্রায় ১৮৫০০০ ডলার বছরে।

ক্লাউড আর্কিটেক্ট :

ক্লাউড আর্কিটেক্ট :

এদের মূল কাজ থাকে একটি কোম্পানির ক্লাউড কম্পিউটিং স্ট্রাটেজি তৈরী করা। আজকাল সবাই তার স্টোরেজ ক্লাউডেই বেশি রাখতে চায়। বছরে তাদের সেলারি ১৯৫০০০ ডলার কিংবা তার বেশি হতে পারে।

আই ও টি (IOT ) সলিউশন আর্কিটেক্ট:

আই ও টি (IOT ) সলিউশন আর্কিটেক্ট:

বর্তমানে যেসব পেশা খুব বেশি চাহিদা সম্পন্ন তার মধ্যে IOT একটি। আমাদের অনেকেই হয়তো এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত না , আসুন একটু বুঝিয়ে বলি বিষয়টি কি ? IOT মানে হচ্ছে internet of things, ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এ ধরণের আপনার যত ডিভাইস আছে সেগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন হচ্ছে আই ও টি (IOT ) সলিউশন আর্কিটেক্ট এর কাজ। এই ধরণের আর্কিটেক্ট এর বেতন বছরে ২ লাখ ডলারের বেশি হয়ে থাকে।

এ আই আর্কিটেক্ট (AI Architect) :

এ আই আর্কিটেক্ট (AI Architect) :

বর্তমানে এই AI কিংবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কথাটি আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। AI আর্কিটেক্ট এর কাজ হচ্ছে কোম্পানির জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে AI ডেভেলাপ করা, ম্যানেজ করা এবং সেগুলো দেখাশুনা করা। অন এন এভারেজ এদের সেলারি ২৩০০০০ ডলার কিংবা তার বেশি হয়ে থাকে।

সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট (Software Architect):

সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট (Software Architect):

মূলত এদের কাজ হচ্ছে একটি সফটওয়্যার কিভাবে বানানু হবে তার ডিজাইন, কোডিং , টুলস এগুলোর স্ট্যান্ডার্ড সেট করা। এদের চাহিদা সব সময়ই আকাশ চুম্বী। এদের সেলারি বছরে আড়াই লাখ ডলারের বেশি হয়ে থাকে।

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top